নিউজডেস্ক: কভিড-১৯ মহামারীর পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় বর্তমানে বন্ধ রয়েছে রেলওয়ের স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা। কিন্তু দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোয় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দাঁড়িয়েই যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই তারা ভাড়া না দিয়েই ট্রেনে যাতায়াতের সুবিধা নিচ্ছেন। প্রতিদিন এ অঞ্চলের হাজারো যাত্রী বিনা টিকিটে ট্রেনে যাতায়াত করলেও এ অনিয়ম ঠেকাতে পারছে না পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টদের দাবি, নির্দেশনা না থাকায় স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। তবে যেসব যাত্রী টিকিট ছাড়াই ট্রেনে যাতায়াত করছেন, টিকিট পরীক্ষকরা তাদের জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করছেন। এতে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় চলতি বছরের টিকিট পরীক্ষকদের ভাড়া ও জরিমানা আদায় দুই-ই বেড়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, বিনা টিকিটের যাত্রীর কাছ থেকে কৌশলে ভাড়ার নামে অর্থ আদায় করছেন কর্তব্যরত কিছু গার্ড, টিকিট পরীক্ষক, অ্যাটেনডেন্ট, ইলেকট্রিশিয়ান, পাওয়ারকার ড্রাইভার এমনকি রেলওয়ে পুলিশ সদস্য ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও। সে টাকা কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজেরাই রেখে দিচ্ছেন। অভিযোগের বিষয়ে স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন পশ্চিম রেলওয়ের কয়েকজন টিকিট পরীক্ষক। টিকিট পরীক্ষকরা জানান, ট্রেনের এক প্রান্তের কোচ থেকে টিকিট যাচাই করে অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই বিনা টিকিটের যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্যে নেমে যাচ্ছেন। সরেজমিনে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, বিনা টিকিটের যাত্রীদের আটকাতে ট্রেন পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই স্টেশনের প্রবেশপথে অবস্থান নেন টিকিট পরীক্ষক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। বিনা টিকিটের যাত্রীদের আটকে ভাড়া আদায়ও করেন তারা। ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক রুবেল ইসলাম বলেন, অনেক সময় জরিমানা আদায়ে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষে ভাড়া নিয়েই যাত্রীদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, করোনার কারণে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ১৯টি ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্ধ রয়েছে ‘স্ট্যান্ডিং’ টিকিট বিক্রি। তবে স্বল্প দূরত্বের কিছু ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীসংখ্যা ঠেকানো যাচ্ছে না। যারা অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে উঠছেন তাদের কাছে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কোনো টিকিট পরীক্ষক ভাড়ার নামে অর্থ নিয়ে রেখে দিচ্ছেন এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির কথা ভাবা হচ্ছে। করোনার মধ্যে কীভাবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে প্রস্তাব চেয়ে বিভিন্ন ইউনিটে চিঠি পাঠিয়েছেন তারা। প্রস্তাব এলেই বিষয়টি ভেবে দেখবেন। সূত্র:বণিক বার্তা, মার্চ ২১, ২০২১