লালমনিরহাটে ঝুঁকিপূর্ণ তিস্তা রেলসেতু দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও যাত্রীবাহী বেশ কয়েকটি ট্রেন চলছে। শতবর্ষী সেতুটি ভেঙে পড়লে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এ জেলার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। তবে কর্তৃপক্ষ সেতুটির স্থায়িত্ব-সংক্রান্ত সমীক্ষা করতে এরই মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট (এটিএস) সাজ্জাত হোসেন বলেন, দুটি আন্তঃনগর, একটি শাটল এবং ১২টি কমিউটার ও লোকাল মেইল ট্রেন এ তিস্তা সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে। সেতুটির বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট বিভাগীয় চিফ ট্রেন কন্ট্রোলার শহিদুল ইসলাম বলেন, এ পথ দিয়ে ট্রেন চলাচলে গতিবিধি মেনে চলার জন্য সেতু বিভাগের (অবকাঠামো) নির্দেশনা রয়েছে। তবে তিস্তা রেলসেতুর ওপর গতিসীমা কত, সে তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কাজী রফিকুল ইসলাম ঝুঁকি স্বীকার করে বলেন, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। তবে এ সেতুর আয়ুষ্কাল বা মেয়াদ সম্পর্কে রেল দপ্তরে কোনো তথ্য সংরক্ষিত নেই। তাই সেতুটির ঝুঁকি ও স্থায়িত্ব সম্পর্কে জানতে এবং বিকল্প সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে কনসালট্যান্ট নিয়োগসহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলেই লালমনিরহাট তিস্তা রেলওয়ে সেতুর ঝুঁকির মাত্রা, স্থায়িত্ব ও পুনর্নির্মাণ-সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ শুরু করা হবে।
সুত্র:বণিক বার্তা,জানুয়ারি ০৯, ২০১৮