নিউজ ডেস্ক: চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের মত ঘৃণ্য কাজ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মাঠে নেমেছে পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২২ মে) দিনভর ‘পাথর নিক্ষেপকে না বলুন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে এই বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল সচেতনতামূলক কর্সসূচি পালন করে।
তারা রংপুরের কাউনিয়া জংশন থেকে গাইবান্ধার বোনারপাড়া জংশন পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে ও সংলগ্ন এলাকায় যাত্রী সমাবেশ, বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়, লিফলেট বিতরণ করেন।
তারা মটর ট্রলিতে করে কাউনিয়া, পীরগাছা, অন্নদানগর, চৌধুরানী, হাসানগঞ্জ, বামনডাঙ্গা, নলডাঙ্গা, কামারপাড়া, কূপতলা, গাইবান্ধা, বোনারপাড়াসহ বিভিন্ন স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্কুল, কলেজজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এ ব্যাপারে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ছাত্রছাত্রীদের আহ্বান জানান। পাশাপাশি এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সমাজকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন। রাজশাহির ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ফুয়াদ হোসেন আনন্দ রেল এ দলের নেতৃত্ব দেন।
স্থানীয় রেল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে নিরীহ যাত্রীদের আহত করার ব্যাপারটি সচিব পর্যায়ে আলোচিত হয়। তারই ফলশ্রুতিতে দেশের বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু স্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা এলাকা তার মধ্যে অন্যতম। জেলার অন্য এলাকাগুলোতেও কমবেশি এ প্রবণতা রয়েছে। কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল তরুণ ও কিশোর এই ভয়ংকর কাজটি করে থাকে।
গাইবান্ধা রেল স্টেশনে সচেতনতামূলক সমাবেশে যাত্রীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় গাইবান্ধা রেল স্টেশনে পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (রাজশাহি) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ একটি ঘৃণ্য কাজ। রেল লাইনের পাশে বসবাসকারী বিবেকবান মানুষরা একদিকে যেমন মানুষকে সচেতন করতে পারেন, তেমনি দুর্বৃত্তদের ধরিয়ে দেবার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে পারেন। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এলে সাধারণ যাত্রীদের জীবন ও রেল তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা পাবে।
সুত্র:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম