এটিএম নিজাম :
ট্রেনে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ যাতায়াতে ভৈরবে এসে বগি চেঞ্জ করতে হয়। ঢাকায় যাতায়াত করা যাত্রীদের ভৈরবে এসে বসে থাকতে হয়। এজন্য আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। কিশোরগঞ্জের যাত্রীদের এ সমস্যার কথা চিন্তা করে কিশোরগঞ্জ-ঢাকা সরাসরি ট্রেনের ব্যবস্থা করছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
এজন্য বাইপাস সড়কেরও উদ্যোগ নিয়েছেন ভাটির শার্দুলখ্যাত এ রাষ্ট্রপতি।
সোমবার কিশোরগঞ্জের গুরুদয়ালে এক নাগরিক সংবর্ধনায় কিশোরগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি ট্রেনের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
নতুন আরও একটি ট্রেন এ রুটে দেয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, আমি প্রথম রাষ্ট্রপতি হয়ে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বাড়িয়েছিলাম। চাহিদার প্রয়োজনে এখন আবার একটা নতুন ট্রেনের দরকার এবং ট্রেনের কোচ এবং বগি বাড়ানো প্রয়োজন।
কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ট্রেনের দাবি করেছেন, এটা যৌক্তিক দাবি। ভৈরব এসে ট্রেন আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা অপেক্ষা করে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে কিশোরগঞ্জ আসতে হয়। যাওয়ার সময় আবার ইঞ্জিন ঘুরিয়ে ভৈরবে আধ ঘন্টা-এক ঘন্টার জন্য থাকতে হয়। এজন্য একটা বাইপাস করে দিলেই ট্রেন সরাসরি কিশোরগঞ্জ আসতে পারে। এটার জন্য আমি ডিও লেটার দিয়েছি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরেই খুব দ্রুত রেলমন্ত্রী ও রেল সচিবকে আমি বঙ্গভবনে ডাকবো। এ ব্যাপারে যেনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং আমাদের ট্রেনের যে সমস্যা এগুলো দূর করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেলপথে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ওই ট্রেনটি শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেলপথে নিয়মিত চলাচল করে। এ ট্রেনের প্রথম শ্রেণী, শোভন চেয়ার ও শোভন শ্রেণি মিলিয়ে আসন সংখ্যা ৫৫২টি।
কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস প্রতিদিন ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় সকাল ১০টা ২০ মিনেটে পৌঁছে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে। আর ৩টা ৪০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
এছাড়া এগারো সিন্ধুর নামের আরেকটি ট্রেন চলাচল করে এ রুটে। কিন্তু ভৈরবে যাত্রা বিরতির কারণে যাত্রীদের অনেকটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেই দুর্ভোগ পোহানোর উদ্যোগ নেয়ায় রাষ্ট্রপতিকে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে নিয়মিত যাতায়াতকারী তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা আহসান হাবিব যুগান্তরকে বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশনায় বাইপাস চালু হলে আমাদের অন্তত দেড়ঘণ্টা সময় বেঁচে যাবে। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাই।
সুত্র:যুগান্তর, ০৮ অক্টোবর ২০১৮