নিউজ ডেস্ক:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১ জুন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে, যা চলবে ৬ জুন পর্যন্ত। টিকিট দেওয়া হবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে। গতকাল রাজধানীর রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এ কথা জানান।
এ সময় তিনি আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। রেলমন্ত্রী জানান, ১ জুন দেওয়া হবে ১০ জুনের টিকিট। তেমনি ২ জুন ১১ জুনের টিকিট, ৩ জুন ১২ জুনের, ৪ জুন ১৩ জুনের, ৫ জুন ১৪ জুনের এবং ৬ জুন দেওয়া হবে ১৫ জুনের অগ্রিম টিকিট। ফিরতি ট্রেনের টিকিট ছাড়া হবে ১০ জুন থেকে।
মুজিবুল হক বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবার সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন দেওয়া হবে। এগুলো হলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রেলপথে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রেলপথে রাজশাহী স্পেশাল, পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর রেলপথে পার্বতীপুর স্পেশাল। এই পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন ঈদের আগে আগামী ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চলবে। আবার ঈদের পরে চলবে ১৮ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত। এছাড়া বাকি দুটি স্পেশাল ট্রেন চলবে ঈদের দিন। এগুলো চলবে ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে।
রেলমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এবারের ঈদযাত্রায় ট্রেনযাত্রীরা সময়মতো বাড়ি ফিরতে পারবেন। শিডিউল মেইনটেইন শতভাগ হবে। তিনি বলেন, গত বছরও ছিল, এ বছরও হবে। শিডিউল মেইনটেইন অবশ্যই আমাদের দায়িত্ব।
রেলমন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে পৌনে তিন লাখ যাত্রী ট্রেনে যেতে পারবেন। রেলে সাধারণ সময়ে দুই লাখ ৬০ হাজার মানুষ চলাচল করতে পারেন। ঈদ উপলক্ষে তিন লাখ মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবে বলে আশা করছি।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। একজন যাত্রীকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট দেওয়া হবে এবং এই টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। কমলাপুর রেলস্টেশনের ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে দুটি কাউন্টার থাকবে নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
মোট টিকিটের ৭৫ শতাংশ কাউন্টারে এবং বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। এছাড়া ঈদের আগে ১১ জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সাপ্তাহিক ছুটিতেও চলাচল করবে।
সুত্র:শেয়ার বিজ