নিউজ ডেস্ক: ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বেনাপোল-ঢাকাগামী ৭৯৫ নম্বর আন্তঃনগর ‘বেনাপোল এক্সপ্রেসে’র দুটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার হলে রাতেই ওই রুটে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন অতিক্রমকালে লোকোসেড সংলগ্ন ৬ নম্বর লাইনের ১৪ নম্বর পয়েন্টে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় অফিস সূত্র মতে, ১২টি বগি নিয়ে আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে যাত্রা বিরতি শেষে লাইন ক্লিয়ার সংকেত পেয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। কিন্তু ঘটনাস্থলের পয়েন্টে যথাযথভাবে ঠিক না থাকায় ট্রেনের পেছনের ‘ঞ’ ও ‘ঝ’ বগি দুটি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা থেকে খুলনা, খুলনা থেকে ঢাকা, রাজশাহী থেকে খুলনা, খুলনা থেকে রাজশাহী তথা ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
দুর্ঘটনা কবলিত ‘ঞ’ বগির যাত্রী সোহেব আরেফিন জানান, বিকট শব্দ করে যখন ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয় এবং এই অবস্থায় ট্রেন ট্রেনে হিঁচড়ে যাচ্ছিল তখন তাঁরা মৃত্যু আতঙ্কে ছিলেন। সবাই উচ্চস্বরে চিৎকার দিচ্ছিলেন। নারীরা হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করেন।
‘ঝ’ বগির যাত্রী নাছির উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার সময় তারা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সবাই কান্না শুরু করেন। বাঁচার জন্য তাড়াহুড়ো করতে থাকেন। অনেকেই জানালা দিয়ে নামার চেষ্টা করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। তবে ট্রেনটি চলমান থাকায় কেউ নামতে পারেননি। হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি।
রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ আহসান উল্যাহ ভূঁইয়া জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বেনাপোল এক্সপ্রেসটির চারটি বগি কেটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে রাখা হয়েছে। বাকি আটটি বগি নিয়ে আড়াই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সুত্র:কালের কন্ঠ, ২৫ অক্টোবর, ২০১৯