নিউজ ডেস্ক: দুই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে। এ জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা তৈরির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১০২ কোটি ১০ লাখ টাকায় চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন (সিআরডিসি) ও বাংলাদেশের মজুমদার এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ কাজ করবে।
গতকাল রেলভবনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুল আহসান ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লিউ উইচাও এ চুক্তিতে সই করেন। অন্যদের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই এবং পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরির কাজ শেষ করবে তারা। অর্থের জোগান আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, রেলপথের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা গেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতে অনেক সময় বাঁচবে। ২০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর মাধ্যমে দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করা যাবে।
২০১৫ সালে রাজধানীর সঙ্গে বন্দরনগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ব্যবসা বাণিজ্য বেড়ে যাচ্ছে, যোগাযোগটাও বেড়ে যাচ্ছে। আঞ্চলিক যোগাযোগ না থাকলে অর্থনীতি কিন্তু গতিশীলতা পাবে না। এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার রেল খাতের উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজধানী থেকে ৩২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পৌঁছাতে অন্তত ছয় ঘণ্টা সময় লাগে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকা থেকে কুমিল্লা বা লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণ করা গেলে তার দৈর্ঘ্য হবে ২৩০ কিলোমিটার, অর্থাৎ এখনকার চেয়ে ৯০ কিলোমিটার কম।
সুত্র:শেয়ার বিজ, জুন ১, ২০১৮