নিউজ ডেস্ক: রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী পথের বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচ পরিবর্তনের পর এবার রাজশাহী-খুলনাগামী সাগরদাড়ি ট্রেনের কোচ পরিবর্তন হচ্ছে। শিডিউল বিপর্যয় রোধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে নতুন কোচ পরিবর্তন করে পুরনো কোচ দেওয়ায় ক্ষুুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের ক্ষোভ আড়াল করতে গতকাল সোমবার থেকে অনেকটা গোপনেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্র মতে, রাজশাহী-খুলনা পথে একই কোচ দিয়ে প্রতিদিন দুটি ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে খুলনার উদ্দেশে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে সাগরদাড়ি নামে ছেড়ে যায় আর খুলনা থেকে বিকেলে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে কপোতাক্ষ নাম হয়ে। এই ট্রেনেই বছরখানেক আগে যুক্ত হওয়া নতুন কোচটি পরিবর্তন করে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সীমান্ত ট্রেনের পুরনো কোচটি দেওয়া হয়েছে রাজশাহী-খুলনা পথে।
রাজশাহীর স্টেশন ব্যবস্থাপক আব্দুর করিম বলেন, ‘খুলনা-ঢাকা-খুলনা পথে প্রতিদিন তিনটি ট্রেন চলাচল করে দুটি র্যাক দিয়ে (একটি ট্রেনের সব কোচ মিলে একটি র্যাক)। এর মধ্যে একটি র্যাক পুরনো, আরেকটি নতুন। এতে করে কোনো একটি ট্রেনের শিডিউল বিলম্ব হলে পুরো শিডিউল ভেঙে পড়ে। এ কারণেই ওই পথে চলাচলকারী সীমান্ত ট্রেনের পুরনো কোচ পরিবর্তন করে রাজশাহী-খুলনাগামী সাগরদাড়ি ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। আর এই ট্রেনের নতুন র্যাকটি খুলনা-ঢাকাগামী তিনটি ট্রেনেই যেন সংযুক্ত করা যায় এ জন্য পরিবর্তন করা হয়। এর ফলে দুই অঞ্চলের যাত্রীদেরই সুবিধা হবে। কারণ কোনো ট্রেনই আর বসে থাকবে না।
রাজশাহী-খুলনা পথে চলাচলকারী যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই পথের নতুন কোচ পরিবর্তনের ফলে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হলো। কারণ এই পথে তেমন শিডিউল বিপর্যয় হয় না।’
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যাল কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যা কিছু করা হচ্ছে যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই। পুরনো র্যাকের কারণে দুই পথেই সমস্যা হচ্ছিল। এখন দুই পথে র্যাক সমন্বয় করা হলো যাতে কোনো পথেই শিডিউল বিপর্যয় না হয়।’
সুত্র:কালের কন্ঠ, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯