তৌফিকুল ইসলাম :
গত ৫ জুন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী- ঢাকা রুটে আম পরিবহনের জন্য চালু হয়েছে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’। এরইমধ্যে আম পরিবহনে ভালো সাড়া ফেলতে শুরু করেছে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি। ট্রেন চালুর ১৪ দিনের মধ্যে গত ১৬ জুন সবচেয়ে বেশি সাড়ে ৩৬ টন আম এসেছে ।
রেলের অপারেশন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, এই স্পেশাল ট্রেন চালুর প্রথম দিনেই অর্থাৎ গত ৫ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী থেকে ১০ টন আম নিয়ে ঢাকায় আসে ট্রেনটি। এরপর ১০ জুন আসে সাড়ে ২১ টন আম, ১১ জুন আসে ২০ টন, ১২ জুন আসে সাড়ে ২৫ টন, ১৩ জুন আসে সাড়ে ১৩ টন, ১৪ জুন আসে সাড়ে ১৭ টন, ১৫ জুন আসে সাড়ে ৩১ টন, ১৬ জুন আসে সাড়ে ৩৬ টন, ১৭ জুন আসে ১৯ টন আম। পরিবহন খরচ কম হওয়াতে ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে এর চাহিদা।
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ বলেন, আম পাঠাতে যেহেতু খরচ কম তাই ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি ভালোই চলেছে। যেহেতু এরকম কোনো ট্রেন সার্ভিস আগে ছিল না, মানুষ এর সঙ্গে অভ্যস্ত ছিল না। সেই তুলনায় আশানুরূপ সাড়া ফেলেছে ট্রেনটি। সুতরাং ধীরে ধীরে এই ট্রেনে আম পাঠানোর চাহিদা বাড়ছে। তবে যেদিন বৃষ্টি থাকে সেদিন আমের বুকিং কিছুটা কম হয়।
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি সপ্তাহের প্রতিদিন চলাচল করছে। ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকেল ৪টায় এবং রাজশাহী থেকে বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা পৌঁছায় রাত ১টায় ।
এদিকে, ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে এক মণ আম রাজশাহী থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাতে খরচ পড়ছে ৪৭ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি ১ টাকা ১৮ পয়সা। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ঢাকায় আম পাঠাতে প্রতি কেজিতে খরচ পড়ছে ১ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ এক মণে মাত্র ৫২ টাকা।
তাছাড়া, শুধু আম নয় সকল প্রকার শাকসবজি, ফলমূল, ডিম সহ কৃষিজ দ্রব্য ও রেলওয়ে আইনে পার্সেল হিসেবে বহনযোগ্য সকল সামগ্রী এই ট্রেনে পরিবহন করার সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মে থেকে কৃষিপণ্য পরিবহনে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্তমানে যেসব রুটে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চলাচল করছে , চট্টগ্রাম- সরিষাবাড়ী -চট্টগ্রাম , ঢাকা -ভৈরব বাজার – ঢাকা, বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন (পঞ্চগড়) -ঢাকা, খুলনা- চিলাহাটি-খুলনা।
সূত্র:বার্তা২৪.কম, ১৮ জুন, ২০২০