করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে দুই দেশেই অবরুদ্ধ অবস্থার কারণে বেশ কিছুদিন ব্যাহত হওয়ার পর ভারত থেকে বাংলাদেশে মালবাহী ট্রেনে পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (৯ মে) পেঁয়াজবাহী প্রথম ট্রেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় রেলওয়ে।
দর্শনা-গেদে পয়েন্টে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাস্টমস ছাড়পত্র পেলে ৪২ বগি পেঁয়াজ সুবিধাজনক স্থানে আনলোড করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চারটি রেলওয়ে পয়েন্ট দিয়ে আরও কিছু মালবাহী ট্রেন নিত্যপণ্য নিয়ে আসবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী রূপ পাওয়ার পর এর বিস্তার ঠেকাতে দেড় মাস আগে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশই লকডাউন সৃষ্টি করে। এই সময়ে গণপরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ মে) বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভারত থেকে জরুরী প্রয়োজনে পণ্য আমদানি ও সরবরাহ বাড়াতে সরকার চারটি রেল রুট চালু করতে যাচ্ছে। রেলের কার্গো চালু করতে যাওয়া রুটগুলো হলো-যশোর, দর্শনা, বিরল ও রাধিকাপুর।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বোনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেয়া বন্ধ থাকায় সরকার রেলের মাধ্যমে পণ্য আনতে চাচ্ছে। এজন্য রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ বিষয়ে একটি ফাইনাল মিটিং হবে। যাতে ভারত থেকে চারটি রুটে কার্গোর মাধ্যমে আমাদের কাঁচামালসহ অন্য পণ্য আনা-নেওয়া যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরবরাহ চেইন ঠিক রাখতে ভারতের সঙ্গে রেলওয়ের চারটি রুট ঠিক করা হয়েছে। যশোর, দর্শনা, বিরল ও রাধিকাপুর। এছাড়া বেনাপোলসহ অন্য ল্যান্ডপোর্টগুলোও খোলা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতির কারণে বন্ধ হয়েছে গেছে গত তিন-চারদিন ধরে। তবে সরকারিভাবে কোনো বাধা নেই। ওপারের (ভারত) জনগণ যেকোনো কারণে এটার বিরুদ্ধে থাকায় বন্ধ।
‘বেনাপোল বন্ধ হলেও আমাদের আসাম ও ত্রিপুরা স্থলবন্দর চালু রয়েছে। আমরা খুব চেষ্টা করছি। ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা চ্যাংড়াবান্ধা ও বাংলাবান্ধা- এই দু’টি স্থলবন্দর সচল রাখার জন্য যাতে প্রয়োজনীয় সবিধা পাই।
প্রায় ২২শর বেশি ট্রাক পড়ে আছে বেনাপোলের ওপারে (ভারত)। আমাদের এখানেও প্রায় ২শ ট্রাক পড়ে আছে, তারা যেতে পারছে না। যদি ট্রেন চালু করা যায় তাহলে আশা করছি আমরা আমাদের আগের অবস্থান থেকে উন্নতি করতে পারবো।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজও ভারত থেকে আসছে। নাসিকজাতের পেঁয়াজ নিয়ে বেশকিছু কার্গো ট্রেন বুক হয়েছে আসার জন্য। আশা করা যাচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের বর্ডারে চলে আসবে। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝিতে ভারতের পেঁয়াজও আমরা পেয়ে যাবো। আমাদের দেশের পেঁয়াজও বাজারে চলে এসেছে। ফলে আশা করছি পেঁয়াজের দাম সহনীয় মাত্রায় চলে আসবে।
সূত্র:শেয়ার বিজ, মে ৯, ২০২০