নিউজ ডেস্ক: গোয়ালন্দ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গোয়ালন্দ বাজার ও গোয়ালন্দ ঘাট রেল স্টেশন দুইটিতে নেই যাত্রীছাউনি, টয়লেট, টিউবওয়েল ও বিশ্রামাগার। এমনকি স্টেশন দুইটিতে বসার ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। এতে করে ট্রেন ভ্রমণে আসা যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
জানা গেছে, ব্রিটিশ আমল থেকে রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ গোয়ালন্দ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ হয়ে এখনো অসংখ্য যাত্রী গোয়ালন্দ ঘাট হয়ে রেলপথে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, রাজশাহী লাইনে চলাচল করে; কিন্তু গোয়ালন্দ ঘাট ও গোয়ালন্দ বাজার স্টেশনে এসে যাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির শিকার হন। গোয়ালন্দ বাজার রেল স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে স্টেশন মাস্টারসহ গুরুত্বপর্ণ বেশ কয়েকটি পদ শূন্য থাকায় এখানে সমস্যা আরো প্রকট।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোয়ালন্দ বাজার স্টেশনে প্লাটফর্মের অর্ধেকটা জুড়ে ছাউনি রয়েছে; কিন্তু ছাউনির নিচে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। পুরুষ যাত্রীরা দাঁড়িয়ে এবং নারী ও শিশুরা বাধ্য হয়ে মাটিতেই বসতে বাধ্য হন।
গোয়ালন্দ ঘাট স্টেশনে যাত্রী ছাউনিও নেই। স্টেশন দুইটিতে নেই কোনো টয়লেট ব্যবস্থা। এতে করে পুরুষ যাত্রীরা আশপাশের মসজিদ বা বিভিন্ন হোটেলের বাথরুমে গেলেও নারী যাত্রীদের পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়। পর্যাপ্ত ছাউনি, বিশ্রামাগার বা বসার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রোদ বৃষ্টিতে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহান। টিউবওয়েল না থাকায় পানির কষ্টও পেতে হয় যাত্রীদের।
গোয়ালন্দ বাজার রেল স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রী রীনা বেগম ও সামিয়া ফারহানা জানান, তাদেরকে প্রায়ই জরুরি প্রয়োজনে রাজবাড়ী যেতে হয়। রেল পথে নিরাপদ যাত্রা ও কম ভাড়ায় চলাচলের সুযোগ থাকায় ট্রেনেই বেশি চলাচল করে থাকেন; কিন্তু স্টেশনে এসে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকাকালে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট রেল স্টেশনে কথা হয় মানিকগঞ্জের মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, আমি কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। নদী পাড় হয়ে এসে গোয়ালন্দ ঘাট থেকে আন্তনগর ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করি; কিন্তু স্টেশনে এসে ট্রেনের অপেক্ষায় যতক্ষণ থাকি ততক্ষণ নানা রকমের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট স্টেশন মাস্টার জিল্লুর রহমান জানান, তার স্টেশনটি ঘাট পয়েন্টে হওয়ায় ভাঙনের আশঙ্কায় রেলের নিয়ম অনুযায়ী প্লাটফর্মসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের নিয়ম নেই। তবে যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, গোয়ালন্দ বাজার স্টেশনে মাস্টারসহ অনেক পদ শূন্য রয়েছে। আর যাত্রীদের ভোগান্তিসহ সব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।
সুত্র:ইত্তেফাক, ১৯ জুন, ২০১৮