নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগের বৃহত্তম ঈশ্বরদী জংশনের রেলওয়ে লোকোমোটিভে (ব্রডগেজ) জনবল সংকটে রয়েছে। আর এ কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, এই লোকোমোটিভে কর্মকর্তার মঞ্জুরি পদের সংখ্যা ২৩ জন; কিন্তু বর্তমানে রয়েছেন মাত্র আটজন। ফিটিংস কর্মচারীর (ফিটার) মঞ্জুরী পদ ১১৮ জন। এই পদে মাত্র ৪৫ জন জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া লোকো মাস্টার ও ফিটিংস স্টাফদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ‘ওয়ার্কশপ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ এর ট্রেনিং কর্মকর্তা ফেব্রুয়ারিতে অবসরে যাচ্ছেন। এখানকার দুইজন ইন্সট্রাকটরের একজন ঢাকায় এবং অপরজন ইতোমধ্যে খুলনায় বদলি হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে একজন প্রধান সহকারী এবং টুলস্ কীপার দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই/লোকো) শেখ হাসানুজ্জামান জনবল সংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওভারটাইম করিয়ে কোনো রকমে কাজ চালানো হচ্ছে। ৮৫০ জন খালাসি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। খালাসি পদে নিয়োগ চূড়ান্ত হলে সমস্যা আংশিক কমতে পারে। তবে কর্মকর্তার টেকনিক্যাল পদে সমস্যা থেকেই যাবে। উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হওয়ায় এই পদে নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে হয়। এসব পদে নিয়োগের উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। ডিএমই আরো বলেন, ১৯৮৫ সালের জনবল কাঠামো অনুযায়ী ঈশ্বরদী রেলওয়ে লোকোমোটিভে উল্লেখিত পদ সৃষ্ট হয়। ওই সময়ের তুলনায় এখন দ্বিগুণের বেশি ট্রেন চলাচল করছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ম্যানেজার (ডিআরএম) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানান, এই বিভাগে বর্তমানে ১০২৮ কি.মি ব্যাপী রেলপথে প্রতিদিন ১১৫টি ট্রেন চলাচল করছে। চরম জনবল সংকটের মধ্যেই আন্তঃনগর, মৈত্রি এক্সপ্রেস, মেইল, লোকাল এবং গুডস ট্রেন চলাচলে প্রতিনয়ত কোনো না কোনো সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। নিচের পদগুলোতে কিছু লোক নিয়োগ হলেও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য রয়েছে বলে তিনি জানান।
সুত্র:ইত্তেফাক, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯