শিরোনাম

রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হোক

রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হোক

প্রতি ঈদে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে যায়। এবারও তার ব্যত্যয় হবে না, বরং আগের তুলনায় এবার ঈদে বেশি সংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে। কারণ কভিডকালে বিধিনিষেধের কারণে অনেকেরই বাড়ি যাওয়া হয়নি। বিপুল সংখ্যক মানুষের বাড়ি ফেরা মাত্র কয়েক দিনে সম্পন্ন হয়। এ কারণে মানুষকে অনেক ঝামেলাও মেনে নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বাড়ি যেতে হয়। ঈদে মানুষের গ্রামের বাড়ি ফেরায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য গণপরিবহনে প্রতিবার অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু বিবিধ কারণে তা শতভাগ সফল হয় না।

এবার নতুন নিয়ম করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। আর ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে। ট্রেনের টিকিট কিনতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানোর নিয়ম ফিরিয়ে এনেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এবার প্রত্যেক যাত্রীর জন্য নিজ পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ কেউ তার পরিবারের চার সদস্যের জন্য টিকিট কিনতে চাইলে চারজনের পরিচয়পত্রই দেখাতে হবে। আগের মতো একজনের পরিচয়পত্র দেখিয়ে চারটি টিকিট মিলবে না।

কয়েক লাখ মানুষের অল্প কয়েক দিনের মধ্যে বাড়ি ফেরার জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন নেই। এ কারণে মানুষ তার প্রত্যাশিত দিনে বা পরিকল্পনামাফিক বাড়ি যেতে পারে না। সড়কপথে গণপরিবহনে সরকারি ব্যবস্থাপনা খুবই অপ্রতুল। ঈদে যাতায়াতের ক্ষেত্রে রেলপথ তাই হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। রেল কর্তৃপক্ষ ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে বাড়তি বগি সংযোজন করে থাকে, হয় বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা। তারপরও যাত্রীচাপ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে।

ট্রেনের টিকিট পেতে রাত থেকেই মানুষের লাইন দেয়া শুরু হয়। এটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে মানুষ প্রত্যাশিত টিকিট সংগ্রহ করে। অনেক সময় ব্যর্থও হয়। এজন্য রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে নামে মানুষের ঢল। টিকিট সংগ্রহের এ চাপ সামাল দিতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। তারপরও টিকিট পেতে নানা অনিয়মের খবর আসে। কাক্সিক্ষত টিকিট হাতে পেলে তাদের চোখেমুখে ফুটে ওঠে আনন্দ। প্রযুক্তির সহায়তায় অগ্রিম টিকিট সংগ্রহে বিড়ম্বনা কিছুটা কমলেও অব্যবস্থাপনার কারণে সবাই টিকিট পায় না। এনআইডি কার্ড দেখানো সাপেক্ষে টিকিট বিক্রির উদ্যোগ নাগরিকদের ভোগান্তি লাঘবে সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি। তবে টিকিট বিক্রিতে কারসাজি থেকেই যায়। লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন না। কয়টি টিকিট দেয়া হচ্ছে, তা নিয়ে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। বেশিরভাগ টিকিটই রেলকর্মীদের মধ্যে ভাগাভাগি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই অগ্রিম টিকিট দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম যাতে না হয়, সেদিকে সুদৃষ্টি দিতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকলে এনআইডি কার্ডের শর্তের সুফল মিলবে না।

সূত্র:শেয়ার বিজ


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.