শিরোনাম

দুর্ঘটনা

পবানায় ট্রাকের ধাক্কায় চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল

।। নিউজ ডেস্ক ।। পাবনায় চলন্ত ট্রেনে ট্রাকের ধাক্কায় আন্তঃনগর ঢালারচর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। এতে পাবনা-রাজশাহী রুটে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে পাবনা-রাজশাহী রুটের মহেন্দ্রপুর…


৯ মাসে ট্রেনে ছোড়া হয়েছে ১১০ পাথর, আহত ২৯

দেশের ১৪টি জেলায় ২০ স্পটে নিয়মিত ট্রেনে পাথর ছোঁড়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চারটি জেলার পাঁচটি চিহ্নিত এলাকা হলো-চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, সীতাকুন্ড, বাড়বকুন্ড, ফেনীর ফাজিলপুর-কালীদহ এবং নরসিংদী জেলার নরসিংদী, জিনারদী ও ঘোড়াশাল এলাকা। অন্যদিকে…


টঙ্গীতে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ

।। নিউজ ডেস্ক ।। গাজীপুরের টঙ্গী রেলওয়ে জংশন এলাকায় মালবাহী ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রেন লাইনচ্যুত হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন…


রেলগেটে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে ঘটছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা

শামীম রাহমান : ঘটনাটি গত ১৩ আগস্টের। ২৬ টন এলপিজি বহন করা একটি ট্রাকের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় গাজীপুরের পুবাইল রেলগেট বা রেলওয়ের লেভেল ক্রসিংয়ে। কাছাকাছি এলাকায় সে সময় কোনো ট্রেন না চলায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায় ট্রাকটি। এলপিজিবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত ট্রেনেরও। সম্প্রতি রেল ভবনে অনুষ্ঠিত ট্রেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে গৃহীত ব্যবস্থাসংক্রান্ত সভায় এ ঘটনা উল্লেখ করেন গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) ঢাকার পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, সেদিন বড় কোনো দুর্ঘটনা না হলেও সড়কে বাংলাদেশ রেলওয়ের লেভেল ক্রসিংগুলোর উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে প্রায়ই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের গত সাত বছরের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানেও একই ধরনের চিত্র উঠে এসেছে। রেলওয়ের হিসাবে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ১৫৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে রেলগেটে সংঘটিত দুর্ঘটনায়। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পারাপার হওয়ার সময় রেলগেটের ওপর গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে বেশকিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে এ সাত বছরে। এজন্য তারা দায় দিয়েছেন সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া রেললাইনের বাড়তি উচ্চতাকে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সড়কের ওপর দিয়ে রেলপথ গেলে সেই রেলপথের উচ্চতা সড়কের সমান রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, নিয়ম থাকলেও এটা আমাদের দেশে মানার প্রবণতা একেবারেই কম। কোনো ধরনের আদর্শ নকশা না করে ও কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই বেশির ভাগ লেভেল ক্রসিং তৈরি করা হয়েছে। স্বভাবতই ভুল নকশা আর ভুল পরিকল্পনায় নির্মাণ করা এসব লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে বেশি। সড়কের চেয়ে সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া রেলপথের উচ্চতা বেশি হলে তা কীভাবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যাটি বেশি হয় ভারী যানবাহন লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময়। ভারী গাড়ির ভর বেশি থাকায় সেগুলো উঁচু লেভেল ক্রসিং পারাপারের সময় প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খায়। এ ঝাঁকুনির কারণে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবার আশপাশে কোনো ট্রেন থাকলে গাড়িচালকের মানসিকতায়ও একটা বিরূপ প্রভাব ফেলে। তখন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে চলাচল করা ভারী যানবাহনগুলো ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়াও এ ধরনের দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ। সামগ্রিকভাবে লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কের উচ্চতার সঙ্গে রেলপথের উচ্চতা সমান করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি লেভেল ক্রসিং নির্মাণের আগে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে এবং সঠিক পরিকল্পনা ও নকশায় সেগুলো নির্মাণ করতে হবে। লেভেল ক্রসিং এলাকায় সড়কের পিচ ঢালাইয়ে বিটুমিনের বদলে কংক্রিট ব্যবহার করা উচিত। শুধু লেভেল ক্রসিংয়ের বাড়তি উচ্চতাই নয়, বিপুলসংখ্যক রেল ক্রসিং অবৈধভাবে গড়ে তোলার ফলেও দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই জোনে (পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল) বৈধ লেভেল ক্রসিং আছে ১ হাজার ৪১২টি। এর মধ্যে গেটকিপার আছে মাত্র ৪৪৮টিতে। বাকিগুলোয় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। বৈধ, কিন্তু গেটকিপার নেই এমন লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী) রেলওয়েতে বেশি। ৯৭৮টি বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলে গেটকিপার আছে মাত্র ২২১টিতে। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলে (চট্টগ্রাম) ৪৩৪টির মধ্যে গেটকিপার আছে ২৪৫টি লেভেল ক্রসিংয়ে। প্রায় দেড় হাজার বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের পাশাপাশি সারা দেশে অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৮৫। এর কোনোটিতেই গেটকিপারের বন্দোবস্ত নেই। শুধু পারাপারের পথে ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিং লেখা সাইনবোর্ড দিয়ে দায় সেরেছে রেলওয়ে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূসম্পত্তি শাখার তথ্য বলছে, রেলপথে সবচেয়ে বেশি অবৈধ লেভেল ক্রসিং বানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সারা দেশে ৪৫২টি অবৈধ লেভেল ক্রসিং আছে তাদের। অর্থাৎ এসব লেভেল ক্রসিং বাংলাদেশ রেলওয়ে অনুমোদিত নয়। একইভাবে ইউনিয়ন পরিষদের ৩৬৩, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ১১, পৌরসভার ৭৯, সিটি করপোরেশনের ৩৪, জেলা পরিষদের ১৩, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তিন, বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের এক, জয়পুরহাট চিনিকলের এক, ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তিন ও অন্যান্য রয়েছে ৯২টি। এছাড়া ৩৩টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে যেগুলোর মালিকানাই জানতে পারেনি রেলওয়ে। অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর সিংগভাগই গড়ে উঠেছে পূর্বাঞ্চলে। এ অঞ্চলে অবৈধ ক্রসিংয়ের সংখ্যা ৮১১। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লেভেল ক্রসিংগুলোর বাড়তি উচ্চতা, বিপুলসংখ্যক অবৈধ লেভেল ক্রসিং গড়ে তোলা ও এগুলো পরিচালনায় পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে রেলগেটে দুর্ঘটনা ঘটছে বেশি। বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত সাত বছরে সারা দেশে লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে অন্য যানবাহনের দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৩১টি। এসব দুর্ঘটনায় ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর বাইরে একই সময়ে সিগন্যাল অমান্যের জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪০টি, যেগুলোতে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। সবচেয়ে বেশি ঘটেছে লাইনচ্যুতির ঘটনা। সাত বছরে ৮৫৬টি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নয়জনের। সব মিলিয়ে এ সময়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের দাবি, ট্রেন দুর্ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে। ভবিষ্যতে ট্রেন দুর্ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনতে পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য রেলওয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে শুধু ২০২০ সালেই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৪২টি। মৃত্যু হয়েছে ১৫৮ জনের। এর মধ্যে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছে ১১৮ পথচারী। অন্য যানবাহনের সঙ্গে ঘটা ২০টি সংঘর্ষে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ট্রেন দুর্ঘটনা আগের চেয়ে বাড়ছে বলেও জানিয়েছে এ ইনস্টিটিউট। ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে সামগ্রিকভাবে রেলপথমন্ত্রী জানিয়েছেন, ট্রেন দুর্ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ, রেলের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ, প্রদেয় ক্ষতিপূরণ, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি দুর্ঘটনা রোধে ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সর্বোচ্চ সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সূত্র:বণিক বার্তা, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১


নীলফামারীতে অরক্ষিত ক্রসিং, ট্রেনের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১

।। নিউজ ডেস্ক ।। ট্রেনের সাথে ইটবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষে আহত ২ জন এবং নিহত হয়েছে ১ জন। নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকালে চিলাহাটি রেল স্টেশনের কাছাকাছি কাজিরহাটে লেভেল ক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাট ঘটে।…


তাইওয়ানে টানেলের ভেতরে ট্রেন লাইনচ্যুত, নিহত ৪৮

তাইওয়ানে একটি সুড়ঙ্গের (টানেল) ভেতরে ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় পূর্ব তাইওয়ানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গত চার দশকের মধ্যে তাইওয়ানে এটাই সবচেয়ে…


সিগন্যালের ভিন্নতায় বিভ্রান্ত চালক, বাড়ছে ট্রেন দুর্ঘটনা

জেসমিন মলি ও শামীম রাহমান : ঝিনাইদহের সাফদারপুরে গত বছরের ২৭ অক্টোবর দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ট্রেন দুটির একটি ছিল মালবাহী, অন্যটি জ্বালানি তেলবাহী। এ ঘটনায় নষ্ট হয় ১ লাখ ৫০ হাজার লিটার জ্বালানি তেল। দুটি ট্রেনই বাতিল হয়ে যায়। ট্রেন দুটির ইঞ্জিন ও দুর্ঘটনাস্থলের রেললাইন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে সিগন্যাল অমান্য করায় এ দুর্ঘটনা ঘটে, যার দায় দেয়া হয় রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগকে। এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মৃত্যু হয় ১৭ যাত্রীর। এখানেও দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চালকের সিগন্যাল অমান্য করার বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। সিগন্যাল অমান্য কিংবা সিগন্যালের ভুলের কারণে কিছুদিন পর পরই দেশে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে যেমন হতাহতের ঘটনা ঘটছে তেমনি রেলওয়ের অবকাঠামোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য সিগন্যাল ব্যবস্থার ভিন্নতাকে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল। সম্প্রতি ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল থেকেও দুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত করে আরেকটি প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন স্টেশনের সিগন্যালে সিবিআই কালার লাইট, নন-ইন্টারলকড কালার লাইট, সিমাফোর আপার কোয়াড্রেন্ট, সিমাফোর লোয়ার কোয়াড্রেন্ট, কেরোসিন বাতি, সোলার প্যানেল, বৈদ্যুতিক বাতিসহ নানা ধরনের সিগন্যালিং সিস্টেম ও সিগন্যাল বাতির রাত্রিকালীন উজ্জ্বলতার তারতম্যের কারণে ট্রেনের চালকরা (লোকোমাস্টার) বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সিগন্যালের ভিন্নতাকে রেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। পাশাপাশি  বলা হয়েছে, ক্রু-স্বল্পতার কারণে রানিং স্টাফদের যথাযথ বিশ্রাম না হওয়া, অপারেটিং স্টাফদের ওভার ডিউটির কারণে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে ট্রেন পরিচালনা, প্রকৌশল বিভাগের কর্মীদের বিধি অমান্য করে সংশ্লিষ্টদের না জানিয়ে লাইনে কাজ করা, ম্যাটেরিয়াল ট্রলি, পুশ ট্রলি রেললাইনে স্থাপন ও কাজ সম্পন্ন না করে বিপরীতে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে সব মিলিয়ে স্টেশন আছে ৪৮৩টি। এর মধ্যে সিগন্যাল ব্যবস্থাসংবলিত স্টেশনের সংখ্যা ৩৫৩। এ ৩৫৩টি স্টেশনে আবার ব্যবহার করা হচ্ছে পাঁচ ধরনের সিগন্যাল ব্যবস্থা। এর মধ্যে সর্বাধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থাটি হচ্ছে রিলে ইন্টারলকিং সিগন্যালিং। ব্যবস্থাটি পুরোপুরি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। সাধারণত যেসব স্টেশনে ট্রেন চলাচল বেশি, সেসব স্টেশনে এ সিগন্যাল ব্যবস্থা রাখা হয়। রেলওয়েতে এ ধরনের সিগন্যাল ব্যবস্থাসম্পন্ন স্টেশনের সংখ্যা ২২, যার ২০টিই রয়েছে পূর্বাঞ্চলে। অন্যদিকে কম্পিউটার বেজড ইন্টারলকিং সিস্টেম (সিবিআই) ব্যবস্থা আছে ১১২টি স্টেশনে। রেলওয়ে প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, এ দুটি সিগন্যাল ব্যবস্থাকে আধুনিক বলা যায়। বাকি ২১৯টি স্টেশনের সিগন্যাল ব্যবস্থা বেশ পুরনো। এ পুরনো পদ্ধতিগুলোর একটি হলো মেকানিক্যাল ইন্টারলকড সিগন্যাল ব্যবস্থা। লাইনের পাশে এক ধরনের তার ব্যবহার করা হয় এ ধরনের সিগন্যালের জন্য, যা সংযুক্ত থাকে স্টেশন এলাকায় স্থাপিত লিভারের সঙ্গে। এ লিভারে টান দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৭২টি স্টেশনের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। লাল-সবুজ বাতি ব্যবহার করে ট্রেনের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করা হয় দেশের ১২২টি স্টেশনে। এ ব্যবস্থাকে বলা হয় নন-ইন্টারলকড কালার লাইট সিগন্যালিং। ২৫টি স্টেশনে আবার এ ব্যবস্থাও নেই। এসব স্টেশনে ট্রেন প্রবেশের আগ মুহূর্তে স্টেশনমাস্টার ঠিক করেন, কোন লাইন দিয়ে ট্রেনটি যাবে। সে অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা ট্রেন যাওয়ার লাইনটি ঠিক করে দেন। এ পদ্ধতিকে বলা হয় নন-ইন্টারলকড মেকানিক্যাল সিগন্যালিং সিস্টেম। বাংলাদেশ রেলওয়ের ২০১৯ সালের ইনফরমেশন বুকের হিসাব অনুযায়ী, এখনো ১৩০টি স্টেশন সিগন্যালিং সুবিধার বাইরে রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে রেলওয়ের প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী বেনু রঞ্জন সরকার বণিক বার্তাকে বলেন, রেলওয়ের আইন অনুযায়ী ‘ডি’ ক্যাটাগরির স্টেশনে সিগন্যাল ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না। সিগন্যাল সিস্টেম না থাকা স্টেশনগুলো এই ক্যাটাগরিতেই পড়েছে। রেলওয়ের হিসাব বলছে, ৪৮৩টি স্টেশনের মধ্যে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা আছে মাত্র ১৩৪টিতে। বাকিগুলোয় ভিন্ন ভিন্ন পুরনো ব্যবস্থায় ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। রেলওয়েতে সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘উন্নত বিশ্বে ট্রেনের সিগন্যাল ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রযুক্তি এসে জটিল এ কাজ সহজ করে দিয়েছে। পাশাপাশি আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা সেসব দেশে ট্রেন পরিচালনাকেও সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ঘটছে উল্টোটি। এখানে কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই নামানো হয় একের পর এক ট্রেন। কিন্তু এ ট্রেনগুলো সুশৃঙ্খল ও ঝুঁকিমুক্তভাবে চলাচলের জন্য যে সিগন্যাল ব্যবস্থা দরকার, সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে না। এখানে উন্নয়নটা হচ্ছে বড় বড় প্রকল্পকেন্দ্রিক। যেসব উন্নয়নে ব্যাপক দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে সেসব উন্নয়নকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি আমরা। সিগন্যাল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন না করে একের পর এক ট্রেন নামাচ্ছি, যার খেসারত দিতে হচ্ছে একের পর এক দুর্ঘটনার মাধ্যমে।’ তবে রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, সিগন্যাল ব্যবস্থা আধুনিকায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ১৩৪টি স্টেশনকে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থার আওতায় এনেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সব স্টেশনেই আধুনিক ও অভিন্ন সিগন্যাল ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। যেসব নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলোকে আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থায় আনা হচ্ছে।’ তবে কাজটির পরিধি অনেক বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সব স্টেশন আধুনিক ও অভিন্ন সিগন্যাল ব্যবস্থায় আনতে কিছুদিন সময় লাগবে। সূত্র:বণিক বার্তা, মার্চ ২১, ২০২১


বাবার কেনা জমিতে প্রথম কবর রেল দুর্ঘটনায় নিহত দুই ছেলের

।। নিউজ ডেস্ক ।।পারিবারিক গোরস্থানের জন্য বাড়ির সামনেই ৭ শতক জমি কেনেন পল্লীচিকিৎসক আলতাফ হোসেন। সেই জমিতেই প্রথম দাফন হলো তার দুই ছেলের। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলগেট এলাকায়…


মাধবপুরে তেলের ট্রেন লাইনচ্যুত, সিলেটের পথে যোগাযোগ বন্ধ

নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় মালবাহী ট্রেনের পাঁচ বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শাহজীবাজার রেলস্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রেনে আগুনও লেগে যায়। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ…


রেলক্রসিংয়ে বাসে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ৩

নিউজ ডেস্ক:ফেনী সদর উপজেলায় একটি রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বাসের তিন যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১১ জন। রোববার ভোর পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার ফতেহপুর রেলক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।…