তাপস কুমার:
নাটোরের লালপুরে নবনির্মিত মাঝগ্রাম রেলওয়ে জংশন এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এ জংশন চালু হলে পার্শ্ববর্তী বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রামসহ জেলার মানুষ উপকৃত হবে। ইতোমধ্যেই জংশনের আশপাশের বাজারগুলো জমে উঠেছে।
প্রায় এক হাজার ৬২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে মাঝগ্রাম রেল জংশন ও মাঝগ্রাম থেকে ঢালারচর রেললাইন। তবে রেল জংশনের নির্মাণকাজ শেষ হলেও জংশনের সঙ্গে সংযোগকৃত সড়কগুলো পাকা করা হয়নি। তবে শিগগিরই সড়কগুলো পাকা করা হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এদিকে জংশনের আশপাশের বাজারগুলো জমে উঠেছে।
জংশনসংলগ্ন বাজারের চা বিক্রেতা আজিম প্রাং জানান, এ জংশনটি চালু হলে তারা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। মাঝগ্রাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৯৭৩ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের রেলমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী প্রায় ১২৪ বিঘা জমির ওপর মাঝগ্রাম রেলস্টেশন থেকে নগরবাড়ী পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করেন। তখন উত্তরাঞ্চলের সব ট্রেন এখানে স্টপিজ দিত। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে এখানে দু-একটি ট্রেন থামলেও অধিকাংশ ট্রেন স্টপিজ দেয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসাবে মাঝগ্রাম-ঢালারচর রেলপথ ও মাঝগ্রাম রেল জংশন করে দেন। এ জংশনটি চালু হলে সব ট্রেন এখানে থামবে। এই এলাকার সব মানুষ এর সুফল ভোগ করবে এবং এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান রাজীব জানান, এই এলাকার অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এ জংশনটি চালু হলে তারাই বেশি উপকৃত হবেন। এই এলাকার শিক্ষার মান উন্নত হবে।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, মাঝগ্রাম রেল জংশনেন নির্মাণকাজ শেষ। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষামূলক একটি ট্রেন উদ্বোধন করেন। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই জংশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী। জংশন এলাকায় যে রাস্তাটুকু কাঁচা আছে তা শিগগিরই পাকা করা হবে।
সুত্র:শেয়ার বিজ