প্ল্যাটফরম এবং ট্রেনগুলির মধ্যে বিশাল ব্যবধান মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ। বাংলাদেশ রেলওয়ের বেশিরভাগ প্ল্যাটফরম যাত্রীবান্ধব নয়। প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, নারী এবং শিশুদের জন্য প্ল্যাটফরমে র্যাম্প এবং সিঁড়ি সরবরাহ করা হয় না। কমলাপুর, বিমানবন্দর এবং তেজগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেন প্রায়শ কোনো প্ল্যাটফরম ছাড়াই ট্র্যাকগুলিতে থামে। ফলে যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে হিমশিম খেতে হয়, যা নারী এবং প্রবীণদের জন্য প্রায় অসম্ভব। এটি দেশের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুরের একটি সাধারণ দৃশ্য; ট্রেনের সিঁড়ি এবং প্ল্যাটফরমের মধ্যে অত্যধিক ব্যবধানে প্রতিবন্ধী এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের অন্যদের সাহায্য নিতে হয়। সিঁড়ি বা র্যাম্পের অভাবে দেখা যায়, অনেক যাত্রী ট্রেনে চড়ার সময় পড়ে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন।
নিয়ম আনুযায়ী প্ল্যাটফরম এবং একটি ট্রেনের সিঁড়ির মধ্যকার মান দূরত্ব পাঁচ ইঞ্চি হওয়া উচিত, সেখানে আমাদের প্ল্যাটফরম এবং ট্রেনের সিঁড়ির দূরত্ব দুই থেকে তিন ফিট হয়ে থাকে, বিশেষ করে ব্রডগেজ ট্রেনের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে মিটারগেজ ট্রেনগুলির প্ল্যাটফরমের উচ্চতা এক ফুট চার ইঞ্চি এবং এক ফুট ছয় ইঞ্চির মধ্যে, যা ব্রডগেজ ট্রেনের ক্ষেত্রে দুই ফুট তিন ইঞ্চি এবং দুই ফুট ছয় ইঞ্চিরও বেশি।
ভিআইপিদের রেল স্টাফরা সিঁড়ি সরবরাহ করেন। অন্যান্য যাত্রীর ক্ষেত্রে সে ব্যবস্থা নেই। বছর বছর ট্রেনের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি হওয়া সত্ত্ব্বেও যাত্রীসাধারণের দুর্দশা লাঘবে কর্তৃপক্ষীয় কোনো নজর আছে বলে মনে হয়নি। রেলপথকে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবাগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে প্ল্যাটফরমের উচ্চতা বাড়ানো অতি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মাননীয় রেলমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোহাম্মদ শহীদউল্যা, ৪/১ মেরাদিয়া, খিলগাঁও, ঢাকা
সুত্র:ইত্তেফাক, ২২ জানুয়ারি, ২০২০