চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের কারণে যাত্রীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে রেলযাত্রা। রেললাইনের পাশে গড়ে ওঠা বস্তি থেকে খেলার ছলে কিংবা দুর্বৃত্তরাও এই পাথর নিক্ষেপ করে। এতে প্রায়ই যাত্রীদের পাশাপাশি আহত হচ্ছেন চালকও। এ অবস্থায় রেলওয়ের পূর্ব এবং পশ্চিম জোনে পাথর নিক্ষেপ করা হয় এমন ২৬টি এলাকা চিহ্নিত করেছে জিআরপি পুলিশ।
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে আহত হওয়ার ঘটনার কথা বলছিলেন ইঞ্জিন চালক মুজিবুর রহমান। তিনি একা নন। তার মতো অনেক ইঞ্জিন চালক প্রতিনিয়ত আহত হচ্ছেন চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ফলে। আহত হচ্ছেন যাত্রীরাও।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ১১টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে প্রায়ই পাথর নিক্ষেপ করা হয়। নানা ব্যবস্থা নিয়েও পাথর নিক্ষেপ বন্ধ না হওয়ায় এসব পয়েন্ট দিয়ে রেল চলাচল ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জিআরপি ও আরপি তৎপর আছে। যেখানে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে, সেখানেই তারা গিয়ে লোকজনদের বুঝিয়ে বলছে যেন পরবর্তীতে আর কেউ পাথর নিক্ষেপ না করে।’
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে, খেলার ছলে শিশু-কিশোররা যেমন পাথর নিক্ষেপ করে, তেমনি নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে সুবিধা নিতে দুর্বৃত্তরাও পাথর নিক্ষেপ করছে। এ অবস্থায় পাথর নিক্ষেপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করার পর দ্রুত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সবশেষ মাসিক সমন্বয় সভায় বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জি আর পির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফুল ইসলাম বলেন, এগুলো যেন না করে এজন্য মোটিভেশনাল স্পিস দেয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক জায়গা থেকেই অনেককে আটক করা হয়েছে।’
একইভাবে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলেও ১৫টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এগুলো হলো চুয়াডাঙ্গা আউটার, আবদুলপুর রেলওয়ে স্টেশন, শহীদ এম মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশন, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে মধ্যবর্তী স্থান, মুলাডলি রেলওয়ে স্টেশন, কিসামত-রুহিয়া, ভাঙ্গুরা, ভেলুরপাড়া, বামনডাঙ্গা, আক্কেলপুর, উল্লাপাড়া, বড়ালব্রিজ, সলপ, জামতল ও ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা।
সুত্র:সময় টিভি